বর্তমান বিশ্বের সেরা ১০ জন ধনী ব্যাক্তির তালিকা। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যাক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্বস। এতে দেখা যায় গত বছরের থেকে এ বছর কমেছে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা।
ফোর্বসের ৩৬ তম বার্ষিক বিলিয়নিয়ারদের তালিকার হিসাব অনুযায়ী-
গত বছর বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭৫৫ জন। কিন্তু ২০২২ সালে এটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৮ জন। বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যাক্তির সম্পদের পরিমান নিম্নে দেওয়া হলো-
১. এলন মাস্ক বর্তমান বিশ্বের সেরা ধনী ব্যাক্তি
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক। টেক্সাসের বাসিন্দা মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইলন মাস্কের পুরো নাম ইলন রিভ মাস্ক। তিনি একজন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা। তিনি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা, বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পণ্য প্রকৌশলী, সোলারসিটির চেয়ারম্যান, দি বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, নিউরালিংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এবং পেপ্যালের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি তিনি টুইটার ও কিনে নিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি হাইপারলুপ নামক কল্পিত উচ্চ গতিসম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থার উদ্ভাবক। ২০১৮ সালে ইলন মাস্ক ‘ফেলো অব দি রয়্যাল সোসাইটি’ নির্বাচিত হন। একই বছর ফোর্বস সাময়িকী ‘বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি’ তালিকায় ২৫ তম স্থানে তার নাম ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে ফোর্বসের ‘আমেরিকার সবচেয়ে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব’ তালিকায় যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ২০২১ সালের ৮ই জুন পর্যন্ত ইলন মাস্ক বিশ্বের ২য় বিলিয়নিয়ার এবং তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।
২. জেফ বেজোস বর্তমান বিশ্বের সেরা দ্বিতীয় ধনী ব্যাক্তি
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওয়াশিংটনের বাসিন্দা বেজোস ১৯৯৪ সালে বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন।
জেফ বেজোসের পুরো নাম জেফরি প্রেস্টন জেফ বেজোস। তিনি একজন মার্কিন ইন্টারনেট উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারী। তিনি এমন একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা যিনি ই-কমার্সের বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। শিক্ষা জীবনে তিনি তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান এ ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
তার নেতৃত্বে আমাজন.কম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতায় পরিণত হয়। ২০১৩ সালে তিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ক্রয় করেন। ২০১৯ সালে ফোর্বসের বিশ্বজোড়া কোটিপতি তালিকায় প্রথম তিনি। ১৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক ছিলেন জেফের পরিবার।
৩. বার্নার্ড আর্নল্ট বর্তমান বিশ্বের সেরা তৃতীয় ধনী ব্যাক্তি
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ফ্রান্সের ফ্যাশন টাইকুন বার্নার্ড আর্নল্ট। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফ্রান্সের ফ্যাশন টাইকুন বার্নার্ড আর্নল্ট ইউরোপের বিলাস পণ্য প্রস্তুত কোম্পানি এলভিএমএইচ গ্রুপের মালিক। বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ড লুইস ভিট্টন, মোয়েট, হেননেসে, ফেন্ডি, ক্রিস্টিয়ান ডায়র ও গিভেনচি তাঁরই কোম্পানি।
বার্নার্ড আর্নল্টের পুরো নাম বার্নার্ড জিন ইতিয়েন আর্নাল্ট। তিনি একজন ফরাসি ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও শিল্প সংগ্রাহক। বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম বিলাস দ্রব্য কোম্পানি ‘LVMH’ এলভিএমএইচ Moet Hennessy Louis Vuitton এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
৪. বিল গেটস বর্তমান বিশ্বের সেরা চতুর্থ ধনী ব্যাক্তি
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় চার নাম্বারে রয়েছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিল গেটসের পুরো নাম উইলিয়াম হেনরি গেটস। তিনি একজন আমেরিকান ব্যবসায়িক মহারথী, সফটওয়্যার বিকাশকারী, বিনিয়োগকারী, লেখক এবং সমাজসেবী। তিনি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। মাইক্রোসফ্টে কর্মজীবন চলাকালীন গেটস চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সফটওয়্যার আর্কিটেক্টের পদে ছিলেন এবং মে ২০১৪ অবধি বৃহত্তম স্বতন্ত্র শেয়ারহোল্ডারও ছিলেন। তিনি ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকের মাইক্রোকম্পিউটার বিপ্লবের অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা এবং পথিকৃৎ।
১৯৮৭ সাল থেকে, তিনি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের ফোর্বসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ অবধি তিনি চারবছর বাদে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ফোর্বস খেতাব অর্জন করেছিলেন। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেফ বেজোস গেটসকে সরিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী হয়েছিলেন। তখন তার আনুমানিক নিট সম্পত্তির মূল্য ৯০.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল এবং গেটসের নিট সম্পত্তি ছিল ৮৯.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত, গেটসের মোট মূল্য ছিল ১৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তাকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি বানিয়েছিল।
৫. ওয়ারেন বাফেট বর্তমান বিশ্বের সেরা পঞ্চম ধনী ব্যাক্তি
মার্কিন ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ওয়ারেন বাফেট এর পুরোনাম ওয়ারেন এডওয়ার্ড বাফেট। তিনি একজন মার্কিন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং জনহিতৈষী ব্যক্তি। তাঁকে বিংশ শতকের সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী। তিনি ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।
২০০৮ সালে বাফেট বিল বিল গেটসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ফোর্বসের মতে ৬২ বিলিয়ন ডলার ও ইয়াহুর মতে ৫৮ বিলিয়ন ডলার।
২০১১ সালে বাফেট বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘোষণা করে।
বিপুল ধনসম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও ওয়ারেন বাফেট অত্যন্ত মিতব্যয়ী। বাফেট একজন প্রখ্যাত জনহিতৈষী ব্যক্তি। তিনি তার সম্পদের ৯৯ ভাগ জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য দান করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। ২০১২ সালে তার প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে।
৬. ল্যারি পেইজ বর্তমান বিশ্বের সেরা ষষ্ঠ ধনী ব্যাক্তি
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী ল্যারি পেইজ এই তালিকায় ষষ্ঠ নাম্বারে আছেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমান ১১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ল্যারি পেইস এর পুরোনাম ‘লরেন্স “ল্যারি” পেইজ’। তিনি একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। তিনি সের্গেই ব্রিন এর সাথে গুগল প্রতিষ্ঠা করেন। ল্যারি পেইজ হলেন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান আলফাবেট ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। গুগলের সিইও হিসেবে ২০০১ সালের আগস্ট মাসে তিনি পদত্যাগ করেন।
তারপর এরিক এমারসনের পক্ষে, তিনি ২০১১ সালের এপ্রিলে আবার একই পদে পদায়ন হন। তিনি ২০১৫ সালের জুলাই মাসে এলফাবেটের সিইও হবার জন্য আবারও পদত্যাগের ঘোষণা দেন। যার অধীনে গুগলের সম্পদসমূহ পুনর্সজ্জিত করা হবে। ল্যারি পেইজের অধীনে থাকাবস্থায় এলফাবেট বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে বড় আকারের উন্নয়ন সাধন করছিল।
ল্যারি পেইজ হলেন পেইজ-র্যাংক এর উদ্ভাবক, যা গুগলের সার্চ র্যাংকিং এলগরিদম হিসেবে বেশি পরিচিত। ল্যারি পেইজ ২০০৪ সালে মার্কনি পুরস্কার পান।
অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত তিনি বিশ্বের ১২তম ধনী ব্যক্তি, তার ব্যক্তিগত সম্পদ আনুমানিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।
৭. সের্গেই ব্রিন বর্তমান বিশ্বের সেরা সপ্তম ধনী ব্যাক্তি
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের প্রেসিডেন্ট। সের্গেই ব্রিনের সম্পদের পরিমাণ ১০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তিদের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছেন এই টেক বিলিয়নিয়ার।
সের্গেই ব্রিন এর পুরোনাম হচ্ছে সের্গেই মিখাইলোভিচ ব্রিন। তিনি একজন রুশ বংশোদ্ভুত মার্কিন কম্পিউটার প্রকৌশলী ও ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। তিনি সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৪ সালে এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ সেরগেই ব্রিনকে ‘পারসন অফ দ্য উইক’ ঘোষণা করে। ২০০৫ সালে ব্রিন অন্যতম ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ হিসাবে মনোনীত হন। টেসলা মোটরসের অন্যতম কর্ণধার সেরগেই ব্রিন ইলেকট্রিক চালিত যানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
৮. ল্যারি অ্যালিসন বর্তমান বিশ্বের সেরা অষ্টম ধনী ব্যাক্তি
সফটওয়্যার কোম্পানি ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি আলিসন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমান ১০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় অষ্টম অবস্থানে রয়েছেন এই টেক বিলিয়নিয়ার। ১৯৭৭ সালে ওরাকল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
ল্যারি এলিসনের পুরোনাম লরেন্স জোসেফ এলিসন। বর্তমান প্রযুক্তি বিশ্ব তাঁকে ‘ল্যারি এলিসন’ হিসেবেই চেনে। তিনি ওরাকল কর্পোরেশনের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। তিনি শিক্ষাজীবনে ছিলেন অত্যন্ত অমনোযোগী। বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত সফলভাবে তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি। এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে পড়ার সময়ে তিনি প্রথম পরিচিত হন কম্পিউটার ডিজাইনের সাথে। ১৯৬৪ সালে তিনি স্থায়ীভাবে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়াতে চলে আসেন।
সত্তরের দশকে তিনি এমডাল কর্পোরেশনের কাজ শুরু করেন। এখানে তার একটি কাজ ছিল সিআইএ’র জন্য ডাটাবেজ তৈরি করা। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি উৎসাহী হয়ে ওঠেন ডাটাবেজ নিয়ে কাজ করতে। ১৯৭৭ সালে তিনি গড়ে তোলেন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিজ। পরে ১৯৭৯ সালে এরই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ওরাকল। দুই সন্তানের জনক ৬৯ বছর বয়স্ক ল্যারি এলিসনের সম্পদের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ার উডসাইডে।
৯. স্টিভ বালমার বর্তমান বিশ্বের সেরা নবম ধনী ব্যাক্তি
মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বালমার। ২০১৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ও পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৯১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তিদের তালিকায় নবম তম অবস্থানে রয়েছেন।
স্টিভ বলমার তিনি একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী। যিনি ২০০০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। ১৯৭৭ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিত ও অর্থনীতিতে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
স্টিভ বলমার ১৯৮০ সালের ১১ জুন মাইক্রোসফটের ব্যবসা ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন মাইক্রোসফটে বিল গেটসের নিয়োগকৃত ৩০ তম কর্মী। স্টিভ বলমারকে প্রথমে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার বেতনের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং সেই সাথে কোম্পানিত মালিকানার কিছু অংশও দেওয়া হয়। ১৯৮১ সালে সখন মাইক্রোসফট ইনকর্পোরেটেড হয় তখন স্টিভ বলমারের শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৮% । তবে ২০০৩ সালে ৪% শেয়ার রেখে তিনি ৮.৩% শেয়ার বিক্রয় করে দেন এবং একই বছর কর্মীদের জন্য শেয়ারের মালিকানার ব্যবস্থা করেন।
ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে তিনি বিশ্বের একুশ তম ধনী ব্যক্তি ছিলেন এবং তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে তিনি ঘোষণা করেন যে আগামী ১২ মাসের মধ্যে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। এই ঘোষণা অনুযায়ী তিনি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে তার পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং সত্য নাদেলা তার পদে স্থলাভিষিক্ত হন।
১০. মুকেশ আম্বানি বর্তমান বিশ্বের সেরা দশম ধনী ব্যাক্তি
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। উনার মোট সম্পদের পরিমাণ ৯০.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রিলায়েন্স ভারতের অন্যতম লাভজনক কোম্পানি।
মুকেশ আম্বানি তিনি একজন ভারতীয় ধনকুবের। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বৃহৎ শেয়ারের মালিক। রিলায়েন্স ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ কোম্পানির একটি এবং বাজার মূল্যের দিক থেকে ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি।
তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের মালিক। ২০১২ সালে ফোর্বস তাকে সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াদলের মালিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল ব্যক্তিগত বাড়ি আন্তিলিয়ায় বাস করেন। এই বাড়িটির মূল্য প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীনের হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুসারে, ২০১৫ সালে আম্বানি ভারতীয় মানবহিতৌষীদের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন।
২০১৬ সালে তিনি ফোর্বস সাময়িকীর করা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির তালিকায় ৩৮তম স্থান লাভ করেন এবং এই তালিকায় তিনিই একমাত্র ভারতীয়। তিনি ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা ১২ বছর এই সাময়িকীর তালিকায় ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্থান ধরে রাখেন।
২০১৯ সালে ফোর্বসের বিশ্ব বিলিয়নিয়ারের তালিকায় ১৩তম হয়েছিলেন তিনি । তখন তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন : সর্বকালের সেরা স্টাইকার কে?
( সবার আগে সঠিক তথ্য পেতে ফলো করুন আমাদের Google News, পেজ)